যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে নিরাপত্তা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশিরা

স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুরে নিউ ইয়র্কের কুইন্স ভিলেজে হলিস মুসলিম কম্যুনিটি সেন্টারের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

অঙ্গরাজ্যটিতে বাংলাদেশিরা ‘পুলিশ-প্রশাসনের বিমাতাসুলভ আচরণের শিকার হচ্ছেন’ বলে অভিযোগ করেন সমাবেশের অন্যতম উদ্যোক্তা নিউ ইয়র্ক স্টেট এসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট-২৪ থেকে ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার প্রার্থী মাজেদা এ উদ্দিন।

তিনি জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি ভোরে ওজোনপার্ক মসজিদ সংলগ্ন বাসার সামনে গাড়ি পার্ক করার পর দুর্বৃত্তের গুলিতে মারা যান খন্দকার মোদাচ্ছের (৩৬) নামে এক বাংলাদেশি। এর চার মাস পেরিয়ে গেলেও ঘাতক গ্রেপ্তার হয়নি।

গত মাসের ১১ তারিখ রাতে জিনাত হোসেন (২৪) নামে আরেক বাংলাদেশির লাশ পাওয়া যায় ব্রুকলিনের একটি পাতাল রেলস্টেশনে। সেই মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও উদঘাটন করতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তারা। এরপর রেলস্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা সেলিনা হায়দার নামে এক গৃহবধূ দুর্বৃত্তদের হুমকির শিকার হন বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে কুইন্সে এক দুর্বৃত্ত ধাক্কা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিনকে আহত করে, তিনি এখনও কোমায় আছেন।

সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে কুইন্স ভিলেজের সেন্ট আলবেন্সে ১১৩ রোডে অবস্থিত নিজ বাসায় তামিমা সামিরা (১৫) নামে আরেক বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হন। একটি গুলি তার পায়ে লাগে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে এখন পর্যন্ত পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

 ব্রঙ্কস সায়েন্স হাই স্কুলের ছাত্রী সামিরার বাবা মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “তিন বছর ধরে এখানে বাস করছি। নিকট প্রতিবেশী একজন ১৬ বছর ধরে রয়েছেন। কখনই এমন পরিস্থিতি হয়নি এ এলাকায়।”

ধর্ম-বর্ণ-জাতি-গোষ্ঠী সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে মাজেদা উদ্দিন বলেন, “সম্প্রতি এমন আরও অনেক পরিস্থিতির অসহায় শিকার হচ্ছেন প্রবাসীরা। অথচ এসব ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।”

 

সিটি মেয়র ও সিটি পুলিশ কমিশনার বরাবর স্মাকলিপি দেওয়ার পাশাপাশি সবাইকে সবসময় সরব থাকার আহ্বান জানান ইউএস বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট লিটন আহমেদ।

আরও বক্তব্য দেন হলিস মুসলিম কম্যুনিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলম ও শেখ ফরহাদ।

Read Previous

Help reader survey make mfs better with our reader

Most Popular